নাইম আইটি
https://www.nayemit.com/2021/12/backlink.html
ব্যাকলিংক কি? কীভাবে ব্যাকলিংক পাওয়া যায়?
অফ পেজ এসইও'র একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্ট হল ব্যাকলিংক। ব্যাকলিংক মূলত একটি এক্সটার্নাল ফ্যাক্টর অন্য ওয়েবসাইটের সাথে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক স্থাপন করে। বিপরীতভাবে আপনার ওয়েবসাইটের সাথে অন্য ওয়েবসাইটের লিংকিং তাও ব্যাকলিংক হিসেবে কাউন্ট হবে। এবার আমরা জেনে নেই ব্যাকলিংক কত ধরনের এবং কি কি।
ব্যাকলিংক প্রধানত দুই প্রকার (ধরণ নয়)। যথাঃ
১. Dofollow Backlink
২. Nofollow Backlink
তবে অনেকে ব্যাকলিংককে ৮ বা ১৪ প্রকারে বিভক্ত করে থাকে। কিন্তু মোটাদাগে ব্যাকলিংক এই দুই ধরনের হয়। বেশিরভাগ ব্যাকলিংক নো-ফলো ব্যাকলিংক হয়ে থাকে। একটি ওয়েবসাইটকে গুগলের র্যাংক করানোর জন্য যে সকল ফ্যাক্টর কাজ করে তাদের মধ্যে ব্যাকলিংক অন্যতম। ব্যাকলিংককে আপনার ওয়েবসাইটের জন্য একটি ভোট হিসেবে গণ্য করা হয়।
ব্যাকলিংকের গুরুত্ব
আমরা আগেই বলেছি একটি ওয়েবসাইটকে গুগলে র্যাংক করানোর জন্য যতগুলো ফ্যাক্টর রয়েছে তার মধ্যে ব্যাকলিংক অন্যতম। আগে একটা সময় ছিল যখন যেন তেন ব্যাকলিংক নিয়েই একটি ওয়েবসাইটকে র্যাংক করানো যেত। কিন্তু ২০১২ সালের এপ্রিল মাসে গুগল তাদের এলগরিদমে পেঙ্গুইন নামে একটি আপডেট আনে। এরপর থেকে লো কোয়ালিটি ব্যাকলিংক নিয়ে আপনার ওয়েবসাইটকে র্যাংক করাতে পারবেন না।বরং গুগলের পেনাল্টির শিকার হতে পারেন। ফলে ব্যাকলিংক তৈরি করার ক্ষেত্রে আপনাকে হাই কোয়ালিটি তথা ভালো Domain Authority এবং Page Authority দেখে ব্যাকলিংক তৈরি করতে হবে। আপনার ওয়েবসাইটের জন্য হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিংক তৈরি করার কিছু সুফল নিচে দেওয়া হলঃ
১. আপনার ওয়েবসাইটে পোস্ট দ্রুত ইন্ডেক্স হবে।
২. ওয়েবসাইট গুগলের প্রথম পেইজে র্যাংক করাতে পারবেন।
৩. ওয়েবসাইটে ভালো ট্রাফিক আসবে।
৪. ওয়েবসাইটের ইম্প্রেশন এবং ক্লিকের হার বৃদ্ধি পাবে।
৫. ওয়েবসাইটের ডোমেইন এবং পেজ অথরিটি বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
ব্যাকলিংক তৈরী করার উপায়
আশা করি ওপরের Backlink এর আলোচনা থেকে এর গুরুত্ব বুঝতে পেরেছেন। এবার আমাদের মূল পয়েন্টে আসা যাক। ব্যাকলিংক অনেক উপায়ে তৈরি করা যায়। বর্তমানে পেইড ব্যাকলিংক সর্বাধিক জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। তবে পেইড ব্যাকলিংক তৈরীর ক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে যে ওয়েবসাইট থেকে ব্যাকলিংক নিবেন সেটির অথরিটি কেমন, পূর্বে গুগলের পেনাল্টির শিকার হয়েছে কিনা, পর্যাপ্ত ট্রাফিক আছে কিনা ইত্যাদি। ব্যাকলিংক তৈরি করার অনেক উপায় রয়েছে। তার মধ্যে জনপ্রিয় কিছু উপায় সম্পর্কে তুলে ধরলাম।
১. হাই কোয়ালিটি কনটেন্ট (Recommended): এটি ব্যাকলিংক পাওয়ার ক্ষেত্রে সব থেকে জনপ্রিয় পদ্ধতি। আপনি যদি নিয়মিতভাবে ভালমানের কনটেন্ট পাবলিশ করেন তবে অন্য ওয়েবসাইট থেকে এমনিতেই ব্যাকলিংক দিবে। হাই কোয়ালিটি কনটেন্ট পাবলিশের জন্য আপনাকে যেকোনো একটি নিশের উপর ব্যাপক দক্ষতা অর্জন করতে হবে। উক্ত নিশে কেউ কনটেন্ট লেখার সময় গুগলের মাধ্যমে আপনার সাইটে আসবে। আপনার কনটেন্ট থেকে ধারণা নিয়ে লেখার সময় আপনার উক্ত কনটেন্টকে ব্যাকলিংক দিবে। কারণ এতে করে তার ভিজিটররাও পূর্ণাঙ্গ ধারণা পাবে। বড় বড় সাইটগুলো একে অপরকে এভাবে ব্যাকলিংক দিয়ে থাকে।
২. গেস্ট পোস্ট বা পেইড পোস্টঃ পেস্ট পোস্ট হলো অন্যের ওয়েবসাইটে পোস্ট করার মাধ্যমে আপনার সাইটে ব্যাকলিংক নেওয়া। এই সুবিধা অনেকেই দিয়ে থাকে। কারণ এতে করে যিনি পোস্ট করতে দিবেন তারও যেমন লাভ হবে একইভাবে আপনিও তার সাইট থেকে ট্রাফিক ও ব্যাকলিংক পাবেন। তবে বড় বড় সাইটে গেস্ট পোস্ট করার ক্ষেত্রে টাকা দিতে হয়।
৩. ডিরেক্টরি সাবমিশনঃ ডিরেক্টরি বলতে বুঝায় কোন ওয়েবসাইটের তথ্য ভাণ্ডারে আপনার সাইটের তথ্য জমা রাখা। তথ্য জমার সময় যেহেতু আপনার সাইটের লিংক তাদের সাইটে দেওয়া হয় ফলে সেখান থেকে আপনি Backlink পাবেন। তবে ডিরেক্টরি সাইটগুলোর স্প্যাম স্কোর অনেক বেশি হয়। তাছাড়া সম্প্রতি গুগল কয়েক হাজার ডিরেক্টরি সাইটকে পেনাল্টি দিয়েছে। ফলে এসব সাইটে লিংকিং করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকবেন। তবে কিছু ফোরাম আছে যারা পেইড ব্যাকলিংক দিয়ে থাকে। সেগুলো Dofollow Backlink হয়ে থাকে।
৪. ফোরাম পোস্টঃ ফোরাম হলো ঠিক ফেসবুক গ্রুপের মত একটি প্লাটফর্ম যেখানে অসংখ্য ব্যক্তি তাদের প্রশ্ন, অজানা তথ্য, জ্ঞানভিত্তিক পোস্ট করে থাকেন। আপনি সেখানে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার মাধ্যমে ব্যাকলিংক নিতে পারবেন।
৫. কমেন্ট ব্যাকলিংকঃ সবথেকে সহজ ও কার্যকরী হলো কমেন্ট ব্যাকলিংক। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো গুগলে স্প্যাম আপডেটের পর থেকে কমেন্ট ব্যাকলিংকগুলো স্প্যামিংয়ের আওতায় পরে। এর অন্যতম কারণ হলো বেশিরভাগ মানুষ এইভাবে ব্যাকলিংক তৈরি করে। তবে আপনার সাইটে যদি বৈচিত্র্য থাকে অর্থাৎ বিভিন্ন ধরণের ব্যাকলিংক করেন তবে সেটি আপনার স্প্যাম স্কোর বৃদ্ধি করবে না।
৬. ব্রোকেন লিংক বিল্ডিংঃ পূর্বে এই পদ্ধতিতে এসইও এক্সপার্টগণ ব্যাকলিংক তৈরি করার পরামর্শ দিয়ে থাকতেন। বর্তমানে এই পদ্ধতির ক্ষেত্র অনেকাংশে সঙ্কুচিত হয়ে এলেও এর কার্যকারিতা রয়ে গেছে। এটির জন্য আপনাকে যেকোনো একটি বড় সাইটের (বড় সাইট বলতে যেখানে শতাধিক পোস্ট রয়েছে) ব্রোকেন লিংক বের করতে হবে। ব্রোকেন লিংক বলতে বুঝায় ওয়েবসাইটের কোন পোস্ট রিমুভ করা হয়েছে যেটা অন্য পোস্টের সাথে ইন্টার্নাল লিংকিং ছিল। তাছাড়া কোন এক্সটার্নাল লিংকের ক্ষেত্রেও এটি হতে পারে।
৭. ইমেইল আউটরিচঃ সাধারণত রিভিউ পোস্টের ক্ষেত্রে ইমেইল আউটরিচ পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়। আপনি কোন সাইটের সম্পর্কে রিভিউ লিখে ইমেইলের মাধ্যমে তাদেরকে জানাতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনার রিভিউ তাদের পছন্দ হলে তাদের সাইট থেকে পরবর্তীতে আপনাকে ব্যাকলিংক দিতে পারে।
৮. ব্যাকলিংক আদান-প্রদানঃ এটি খুবই কম পদ্ধতি বিশেষ করে ছোট ওয়েবসাইটগুলো এইভাবে ব্যাকলিংক তৈরি করে থাকে। তবে এই জাতীয় ব্যাকলিংকগুলো ভবিষ্যতে খুব কাযে দেয়। আপনি চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে ব্যাকলিংক আদান-প্রদান করতে পারেন।
0 জন কমেন্ট করেছেন
Please read our Comment Policy before commenting.