নাইম আইটি https://www.nayemit.com/2021/12/seo.html

অন পেজ এসইও অপটিমাইজেশন কি? (SEO টিউটোরিয়াল)

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও এর প্রধান একটি অংশ হলো অন পেজ এসইও। আমরা সবাই জানি যে, On-page seo হচ্ছে ব্লগের ভিতরের সকল কাঠামো যথাযথভাবে সার্চ ইঞ্জিনের উপযোগী হিসেবে গড়ে তোলা। 
অন পেজ এসইও, on page seo

আর্টিকেলের টাইটেল ট্যাগ, Meta Tag, কীওয়ার্ড ডেনসিটি ও ভালমানের কনটেন্ট ইত্যাদি যথাযথভাবে অপটিমাইজ করার মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিনে নিজের ওয়েবসাইটের পাকাপোক্ত একটি অবস্থান নেয়ার প্রক্রিয়া হচ্ছে অন পেজ এসইও। পূর্বে আমরা On-page seo নিয়ে একাধিক আর্টিকেল শেয়ার করেছি। আজকে এটির সম্পর্কে না বলা অন্যান্য বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। যখন নিম্নে বর্ণিত পদ্ধতিগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে পারবেন তখন আপনার ব্লগের এসইও অপটিমাইজেশন পরিপূর্ণ হয়েছে বলে মনে করতে পারেন। তবে কোন পয়েন্ট বুঝতে সমস্যা হলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না। 

কনটেন্টের ভিতর H ট্যাগ ব্যবহার 

H ট্যাগগুলো অন পেজ এসইও এর ক্ষেত্রে খুব বড় ভূমিকা রাখে না। এটা সম্পর্কে অনেকে ভুল ধারণা পেয়ে থাকেন। H tag দিলে আপনার কনটেন্টটি পড়তে ভিজিটরদের কাছে ভালো লাগবে। কারণ হেডিং এর মাধ্যমে কোন অংশে কোন বিষয়ে আলোচনা করেছেন তা ভিজিটরদের কাছে সহজে স্পট হবে। 

অনেকে H ট্যাগে ফোকাস কিওয়ার্ড ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। প্রয়োজন ছাড়া হেডিংয়ে ফোকাস কিওয়ার্ড ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই। আর হেডিং দেওয়ার আগে অথবা পোস্ট র‍্যাংক করতে চাইলে আপনাকে কিছু কাজ করতে হবে। আপনার কম্পিটিটররা সেইম কিওয়ার্ডের আর্টিকেলে যেসকল হেডিং ব্যবহার করেছে, আপনাকেও তাদের সাথে মিল রেখে ওই হেডিংগুলো ব্যবহার করতে হবে। তবে অতিরিক্ত কিন্তু প্রয়োজনীয় যেটা তারা দেয়নি এমন হেডিংও সাথে এড করবেন। এতে করে সার্চ ইঞ্জিন আপনার কনটেন্ট সহজেই বুঝতে পারবে। আর কনটেন্ট বুঝতে পারলে আপনাকে প্রথম পেজে র‍্যাংক দেওয়া সহজ হবে। 

ইদানিং পোস্ট ইনডেক্স না হওয়া বা ইনডেক্স হওয়া পোস্ট ডিইনডেক্স হয়ে যাওয়ার কথা শোনা যায়। যারা অন্য সাইট থেকে কপি বা রিরাইট করে কনটেন্ট লিখেন তাদের বিষয়ে কিছু বলার নেই। কিন্তু শতভাগ ইউনিক কনটেন্ট লেখার পরেও পোস্ট ইনডেক্স না হওয়ার কারণ সার্চ ইঞ্জিন আপনার কনটেন্ট কি সম্পর্কে তার সুস্পষ্ট ধারণা পায়নি (তবে আরও কিছু কারণ রয়েছে)। এই সমস্যা এড়ানোর জন্য কম্পিটিটররা ইউজ করেছে সেইম হেডিং ব্যবহার করতে হয়। কারণ তাদের কনটেন্ট সার্চ ইঞ্জিন আগেই বুঝতে পেরেছে এবং র‍্যাংক দিয়েছে। ফলে একই H ট্যাগ আপনার কনটেন্টে দেখলে সার্চ ইঞ্জিন দ্রুতই সেটিকে ইনডেক্স করে নিবে এবং প্রথম পেজে আসার সম্ভবনা থাকে। হেডিং বাদে সাইটের অন্য কোন লেখা মোটেও কপি করবেন না। কারণ একই আর্টিকেল গুগল একাধিকবার কেন ইনডেক্স করবে? আর কখনো করেও না। 

মেটা ডেসক্রিপশন

মেটা ডেসক্রিপশন কে অনেকে সার্চ ডেসক্রিপশনও বলে থাকে। শুরুতে জেনে নেওয়া যাক মেটা ডেসক্রিপশন কি? আমরা যখন গুগলে কোন কিছু সার্চ করি আর ফেসবুকে কোন পোস্ট এর লিঙ্ক শেয়ার করে তখন পোস্টের টাইটেলের নিচে উক্ত পোস্টের কিছু লেখা দেখতে পাই সেটি হল মেটা ডেসক্রিপশন। তবে বর্তমানে গুগল মেটা ডেসক্রিপশনকে খুব একটি আমলে নেয় না। আগে একটি ধারণা ছিল Meta Description-এ ফোকাস কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। তবে বর্তমানে এটি খুব কার্যকরী নয় কিন্তু আপনি চাইলে মেটা ডেসক্রিপশন রিলেটেড কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে পারেন। মনে রাখবেন মেটা ডেসক্রিপশন বা সার্চ ডেসক্রিপশনে ফোকাস কিওয়ার্ড ব্যবহার করলেও একবারের বেশি ব্যবহার করা যাবে না।

পোস্টের পারমালিংক তৈরি

আমরা অনেক সময় বন্ধুদের কাছে বিভিন্ন কোর্সের বা খবরের লিঙ্ক চেয়ে থাকি। লিংক গুলো দেখতে সাধারণত এমন হয়ে থাকে "https://www.nayemit/website". তবে দুইয়ের অধিক শব্দের লিংক হলে সেটি কিভাবে এসইও ফ্রেন্ডলি করবেন? এক্ষেত্রে আপনাকে প্রতিটি শব্দের মাঝে হাইফেন দিতে হবে যেমনঃ 'www.nayemit/website-making'. কিন্তু এখানে যদি আপনি হাইফেন না দেন তাহলে আপনার লিংকটি এমন দেখাবেঃ 'www.nayemit/website%20%making'. এখানে মাঝে যে %20% দেখা যাচ্ছে এটি কোন অর্থবহন করে না। বরং এটি আপনার এসইও-কে খুব বাজেভাবে ইফেক্ট করবে। ফলে বুঝতেই পারছেন পোস্টের পারমালিংক আপনার জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। 

Keyword Density বজায় রাখা

কিওয়ার্ড ডেনসিটি হলো আপনার পোস্টের ফোকাস কিওয়ার্ড বা মেইন কিওয়ার্ড সর্বোচ্চ কতবার ব্যবহার করেছেন সেটির সংখ্যা। ধরুন আপনি পোস্ট করেছেন ফেসবুক মার্কেটিং নিয়ে এবং পোস্টে মোট ওয়ার্ড সংখ্যা ১০০টি এবং ফেসবুক মার্কেটিং শব্দটি ৫ বার এসেছে তাহলে আপনার Keyword Density হবে ৫%। আশা করি বিষয়টি বুঝাতে পেরেছি। অনেকে বলে থাকেন পোস্টে কিওয়ার্ড ঘনত্ব ৩-৫% রাখতে হবে। তবে এমন কোন নিয়ম ভালমানের এসইও এক্সপার্টরা সাজেস্ট করেন না। আপনার পোস্টের স্বার্থে আপনি কতবার ফোকাস কিওয়ার্ড ব্যবহার করবেন এটি আপনার ইচ্ছা। তবে অতিরিক্ত ব্যবহার করলে আপনার পোস্ট গুগলে র‍্যাংক করবে এমন কোন কথা নেই।

LSI কী-ওয়ার্ড

উপরের আলোচনা থেকে জানলাম, কন্টেন্ট এর মধ্যে কিওয়ার্ড ডেনসিটি বেশি থাকলে তা গুগল স্প্যামিং হিসেবে দেখে এবং Google Penalty খাওয়ার সম্ভবনা থেকে যায়। কিন্ত এটাও সত্য রিলেভেন্ট কিওয়ার্ড না থাকলে কনটেন্ট র‌্যাংক করা কঠিন হয়ে পরে। সেক্ষেত্রে আপনার জন্য বুদ্ধিদীপ্ত একটি সমাধান হতে পারে Latent Semantic Indexing (LSI) কিওয়ার্ড ব্যবহার করা, LSI কিওয়ার্ড হলো মেইন কীওয়ার্ড এর রিলেভেন্ট কোনো টার্ম যা আপনি আপনার কনটেন্টে ব্যবহার করবেন।

যেমনঃ আপনার কীওয়ার্ড হচ্ছে "On-page seo" , তো এর LSI হতে পারে "Best Free SEO Tools", "On-page SEO Checker", "Best Method for On page SEO" ইত্যাদি। 
 

শেয়ার করলে মিষ্টি পাবেন

1 জন কমেন্ট করেছেন

Please read our Comment Policy before commenting. ??

পটেনশিয়াল আইটি কী?